ডাঃ জাকির নায়েক একজন মিথ্যাবাদী! (Dr. Zakir Naik is a liar! - Bengali subtitles)

Video

September 14, 2015

ইসলাম ধর্মের খ্যাতনামা আত্মপক্ষসমর্থনকারীদের মধ্যে একজন হলেন

ডঃ জাকির নায়েক। আমি ডাঃ নায়েকের চ্যানেলে গিয়ে ওনার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিওগুলির মধ্যে একটিতে

ক্লিক করলাম, ভিডিওটিতে একজন যুবক কুরআন-এর একটি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন

জিজ্ঞাসা করছিলেন। কুরআনকে ভাল করে পড়ার সময় আমিও এই অসঙ্গতিটি লক্ষ্য করেছিলাম।

এখন আমি আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য কুরআন থেকে কয়েকটি আয়াত পড়ে শোনাচ্ছি। সূরা ২, আয়াত ৬২: কুরআনে

বলা আছে, নিশ্চই যাহারা ঈমান আনিয়াছে, যাহারা ইয়াহূদী হইয়াছে এবং খ্রীষ্টান সাবিঈন-যাহারাই আল্লাহ ও আখিরাতে

ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাহাদের জন্য পুরস্কার আছে তাহাদের প্রতিপালকের নিকট।

তাহাদের কোনো ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না।"

সুতরাং এর মানে হল, "শুনুন, আপনি একজন খ্রিস্টান, একজন ইহুদী, অথবা সাবিঈন যাই হোন না কেন - যদি

আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, সৎকাজ করেন, এবং অন্তিম দিনকে বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার বিচারের

দিনে কোনো ভয় নাই," কিন্তু দেখুন, সূরা ৩ এর ৮৫ নং আয়াতে রয়েছে, "কেহ ইসলাম ব্যাতীত অন্য কোনো দীন

গ্রহণ করিতে চাহিলে তাহা কখনও কবুল করা হইবে না এবং সে হইবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের

অন্তর্ভুক্ত।" তারপরে আবার দেখুন, সূরা ৫ এর ৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, মু'মিনগণ, ইয়াহূদীগণ, সাবীগণ ও

খ্রীষ্টানদের মধ্যে কেহ আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান আনিলে এবং সৎকাজ করিলে তাহাদের কোনো

ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিত হইবে না।"

তাহলে কোনটি সত্যি? একাধিক জায়গায় এতে বলা হয়েছে যদি আপনি একজন খ্রিস্টান, একজন ইহূদী,

বা একজন সাবিঈন হন, তথাপিও যদি আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, সৎকাজ করেন ও অন্তিম দিনের প্রতি

বিশ্বাস করেন তাহলে আপনার মঙ্গলই হবে।" আবার অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, "যদি আপনি নবী মোহম্মদকে বিশ্বাস না করেন,

যদি আপনি ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের উপরে আস্থা রাখেন, তাহলে আপনি নরকে গমন করবেন।"

ডঃ নায়েককে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, এবং মূলত তিনি একটি ডাহা মিথ্যে কথা বললেন।

তিনি কুরআন-এর দুটি অত্যন্ত স্পষ্ট পরস্পর বিরোধী বক্তব্যের জন্য প্রশ্নের সম্মুখীন হন, এই বইটি মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে,

তাই তিনিও পুরাদস্তুর মিথ্যে কথা বললেন। এবারে দেখুন তিনি সেই যুবককে কি বলেছিলেন:

ডাঃ জাকির নায়েক: তিনি কুরআন-এর একটি আয়াত পড়ে শোনাচ্ছিলেন, সূরা আল বাকারাহ, অধ্যায় ২, আয়াত

৬২, যাহারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখেন ও অন্তিম দিনকে বিশ্বাস করেন, তাহারা ইহূদী

খ্রীষ্টান বা সাবিঈন যাই হোন না কেন, তাদের কোন ভয় নেই, এবং ওনারা ওনাদের পুরস্কার থেকে বঞ্চিত

হবেন না। সূরা অধ্যায় ৫ এ একটি অনুরূপ জিনিস আবার বলা হয়েছে। আমার অনুজ এখানে জিজ্ঞাসা করছেন

যে এখানে কেন নবীকে বিশ্বাস করার কথা বলা হয়নি। ভাই, যদি আপনি এই দৈববাণীর বর্ণনা প্রসঙ্গটি পড়েন,

তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন, লোকেরা নবীর কাছে এসে বলেছিলেন, "আমরা ইহূদী ছিলাম, আমরা খ্রীষ্টান

ছিলাম, আমরা সেবিঈন ছিলাম - ঈশ্বর কি আমাদের রক্ষা করবেন? এই প্রসঙ্গে তিনি উত্তর

দিয়েছিলেন যে, পূর্বে আপনার ধর্ম খ্রীষ্টান, ইহূদী, সেবিঈন যাই হোক না কেন, এর পরে যদি আপনি আল্লাহ

ও অন্তিম দিনের প্রতি বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি পুরস্কৃত হবেন। এর মানে

এই নয় যে আজকে হঠাৎ করে একজন লোক এসে বললেন যে আমি খ্রীষ্টান আর অমি যীশুকে ঈশ্বর

বলে মানি, আমাকে জন্নতে (স্বর্গে) পাঠানো হবে। না, এর মানে এটা নয়।"

যুবক: না, আমি আত্মপক্ষ সমর্থনে কুরআন থেকে ২টি আয়াতের উল্লেখ করতে পারি, তা হল যদি আপনি এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন,

যদি সৎকাজ করেন, এবং যদি অন্তিম দিনের প্রতি আপনার আস্থা থাকে, তাহলে সেই দিনে আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ডাঃ জাকির নায়েক: ২টি আয়াত, কিন্তু আয়াত দুটির বর্ণনা প্রসঙ্গগুলি কি কি?

যুবক: হ্যাঁ, আমি তা জানি না।

ডাঃ জাকির নায়েক: আয়াতের বর্ণনা প্রসঙ্গটি হল যখন লোকেরা নবী মোহাম্মদের (তার উপর শান্তি বর্ষিত

হোক) কাছে আসেন, এবং ওনারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাইছিলেন, বলছিলেন, "এতদিন আমরা ইহূদী, খ্রীষ্টান ছিলাম..."

এর উত্তর আয়াতগুলিতে উল্লিখিত আছে... প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ।

এটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। যে যুবকের সাথে ডঃ নায়েক কথা বলছিলেন তিনি সেইসব আয়াতের প্রেক্ষাপট জানতেন না,

কিন্তু সেইসব আয়াতের প্রেক্ষাপট আমি জানি, কারণ আমি কুরআনের একটি প্রতিলিপি

আমার কাছে রেখেছি, এবং আপনি খ্রিস্টান, ইহূদী, ও সেবিঈন সম্পর্কে এতে যে উল্লেখ রয়েছে

তা দেখতে পারেন, এবং এতে এমন কোনো প্রেক্ষাপটের উল্লেখ নেই। "প্রেক্ষাপট" কথার মানে হল, কোনো বিষয়ের

ঠিক আগে বা ঠিক পরে কি আছে। আপনি এতে দেখে নিতে পারেন যে এখানে এমন কোনো কিছু নেই যে লোকেরা

ওনার কাছে এসেছিলেন এবং ওনাকে ওনাদের পূর্ববর্তী ধর্ম বিশ্বাসের উপরে প্রশ্ন করেছিলেন।

এটি কেবলমাত্র একটি ডাহা মিথ্যে কথা, কিন্তু ডঃ নায়েক কুরআন সম্বন্ধে মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে উত্তর দিয়েছেন।

তিনি উপস্থিত মুসলিমদের থেকে বাহবা কুড়িয়ে নিয়েছেন, কিন্তু এতে এমন কোনো প্রেক্ষাপটের উল্লেখ নেই।

এছাড়াও, এতে এও বলা হয়নি যে এইসব লোকেরা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছিলেন। এতে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে

"যারা ইহূদী ধর্ম, খ্রীষ্টান, ও সেবিঈন -এ বিশ্বাস করেন," বর্তমান কাল, "যারা ঈশ্বর, অন্তিম দিনকে বিশ্বাস করেন

এবং সৎকাজ করেন, ওনারা ওনাদের ঈশ্বরের দ্বারা পুরস্কৃত হবেন, ওনাদের কোনো ভয় পাবার

বা দুঃখিত হবার কারণ নেই।" এখানে কখনই বলা হয়নি যে যারা পূর্বে খ্রীষ্টান ছিলেন বা পূর্বে ইহূদী ছিলেন।

এটি একটি চরম মিথ্যে কথা, আর ডঃ নায়েক একজন মিথ্যাবাদী। কুরআন মিথ্যে কথায় ভরা একটি বই, তাই

মিথ্যে কথায় পরিপূর্ণ এই বইটির পক্ষাবলম্বন করতে গেলে, আপনাকে মিথ্যের আশ্রয়তো নিতেই হবে, এবং

ডঃ নায়েক এই কাজটিই করছেন আর এই জিনিসটিকেই আমি এখানে প্রমাণ করলাম।

আপনি কুরআন খুলে নিজেই দেখে নিন এবং দেখুন যে 'প্রেক্ষাপট'-এর কথা উনি বলছেন তা আদৌ আছে কিনা।

এমন কিছুই নেই। এটি হচ্ছে পবিত্র বাইবেল আর এটিই হচ্ছে একমাত্র সত্য, যীশুখ্রীষ্টই হলেন একমাত্র পথ, সত্য,

এবং জীবন। উনি ছাড়া আর কেউ আমাদের পিতা (ঈশ্বর) হতে পারেন না।

 

 

 

mouseover